THE CONSTITUTION OF INDIA
Ind.Pol
Definition of Constitution
প্রতিটি সংগঠন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কতকগুলি সাধারণ নিয়মকানুনের প্রয়োজন। এইসব নিয়মকানুন না থাকলে সংগঠনের উদ্দেশ্যসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবে রূপায়িত হতে পারে না।
রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য একান্তভাবে প্রয়োজনীয় মৌলিক নিয়মকানুনসমূহের সমষ্টিকে সাধারণভাবে সংবিধান বা (Constitution) বলা হয
Classification of Constitution
সংবিধানের শ্রেণিবিভাজনের প্রশ্নে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হ অনেকে গতানুগতিকভাবে সংবিধানকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেন, যথা— [১] লিখিত ও অলিখিত সংবিধ এবং [২] সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান। কিন্তু লোয়েনস্টাইন সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বি বিশ্লেষণ করে সংবিধানকে [১] মৌলিক ও মৌলিকতাবিহীন সংবিধান, [2] নীতিসংবদ্ধ ও আদর্শ-নিরপে সংবিধান এবং [৩] আদর্শনিষ্ঠ, নামীয় ও শব্দগত বিচারে উত্তীর্ণ সংবিধান—এই তিনভাগে ভাগ করেছেন
Distinction between Written and Unwritten Constitutions
1/উদ্ভবগত পার্থক্য। লিখিত সংবিধান এই একটি সংবিধান পরিষদ বা সা অনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়। কিন্তু অলিখিত সংবিধান এইভাবে ঘোষিত হয় না। এরূপ সংবিধান প্রথা, আচার-
[২] সংবিধানের প্রাধান্য বিষয়ে পার্থক্য । লিখিত সংবিধানে সাংবিধানিক আইনই হল দেশের সর্বোচ্চ ছাইন। সরকার প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো ব্যক্তি এই আইনের বিরোধিতা করতে পারে না। সাংবিধানিক আইন বিরোধী তথা সংবিধান-বিরোধী কোনো আইন সরকার কর্তৃক প্রণীত হলে তা বাতিল হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবিধানিক মাইনের প্রাধান্য বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়। কিন্তু অলিখিত সংবিধানে সাংবিধানিক আইনের কোনোরূপ অস্তিত্ব যাবে না বলে সেখানে আইনসভা-প্রণীত আইনই শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত হওয়ায় সেখানে পার্লামেন্টের সার্বভৌমিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(i) [৩] সংবিধান সংশোধন পদ্ধতির ক্ষেত্রে পার্থক্য : যে-সংবিধান লিখিত হয়, তাকে সাধারণত প্রকৃতিগতভাবে দুষ্পরিবর্তনীয় হতে দেখা যায়। এরূপ সংবিধান সংশোধনের জন্য বিশেষ পদ্ধতি'র প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। কিন্তু ব্রিটেনের মতো অলিখিত সবিধানের বিধানগুলি সুপরিবর্তনীয় (flexible) হওয়ায় সাধারণ আইন প্রণয়নের পদ্ধতি অনুসারে আইনসভা সেগুলিকে অতি সহজেই সংশোধন বা পরিবর্তন করতে সক্ষম। তাই মর্যাদা ও গুরুত্বের দিক থেকে বিচার করে অনেকে লিখিত সংবিধানকে অলিখিত সংবিধান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন।
[8] সাংবিধানিক আইন এবং সাধারণ আইনের মধ্যে পার্থক্য লিখিত সংবিধান যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু সরকার সব সময় সংবিধান অনুসারে কাজ করতে বাধ্য থাকে। সরকারের পক্ষে খেয়ালখুশি মতো কোনো আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু অলিখিত সংবিধানে যেহেতু আইনসভা রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী, সেহেতু সরকার যে-কোনো আইন যে-কোনো সময় প্রণয়ন করতে পারে। অন্যভাবে বলা যায়, লিখিত অবিধানে সাংবিধানিক আইন এবং সাধারণ আইনের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হয়। কিন্তু অলিখিত সংবিধানে গ্রুপ কোনো পার্থক্য নিরূপণ করা হয় না।
Distinction between Flexible and Rigid Constitutions
পরিবর্তনীয় এবং দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের মধ্যে কতকগুলি পার্থক্য নিরূপণ করা যেতে পারে। পার্থক্যগুলি হল : [১] সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে পার্থক্য: সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে আইনসভা সাধারণ আইন গোনের পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে সাধারণ আইন প্রণয়নের পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের জন্য 'বিশেষ পদ্ধতি' অনুসরণ কাতে হয়। অন্যভাবে বলা যায়, সুপরিবর্তনীয় সংবিধান সংশোধনের জন্য আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের নেনই যথেষ্ট; কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সংশোধনের জন্য সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট অপেক্ষা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়।
) [২] সাংবিধানিক আইন ও সাধারণ আইনের মধ্যে পার্থক্য: সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে সাংবিধানিক মাইন এবং সাধারণ আইনের মধ্যে কোনোরূপ পার্থক্য নিরূপণ করা হয় না। কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে সাধারণ মইন এবং সাংবিধানিক আইনের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হয়। তা ছাড়া, এরূপ সংবিধানে সাধারণ আইন হানা সাংবিধানিক আইনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অনেক বেশি।
] [৩] আইনের উৎসগত ক্ষেত্রে পার্থক্য: সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে সাধারণ আইন ও সাংবিধানিক মানের উৎস এক এবং অভিন্ন। কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে সাংবিধানিক আইনের উৎস সাধারণ আইনের তা নয়
Framing of Indian Constitution
সংবিধান হল একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণকে সংবিধানের স্রষ্টা বলে চিত্রিত করা হলেও বছরে সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা থাকে না। তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সংস্থা সংবিধান রচনা করে। সুতরাং বলা যায়, গণপরিষদ হল জনসাধারণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে তীর এমন একটি সংস্থা, যা দেশের সংবিধান রচনা করে।
The Preamble to the Constitution of India
WE THE PEOPLE OF INDIA, having solemnly resolved to constitute India into a SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC and to secure to all its citizens: PUSTICE, social, economic and political; • LIBERTY of thought, expression, belief, faith and worship:
EQUALITY of status and of opportunity; and to promote among them all FRATERNITY assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation IN OUR CONSTITUENT ASSEMBLY this twenty-sixth day of November, 1949, do HEREBY ADOPT ENACT AND GIVE TO OURSELVES THIS CONSTITUTION.
finality
পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলি সবদিক থেকেই অভিনব। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী আদর্শের সঙ্গে সামাজিক কল্যাণের আদর্শের সমন্বয়সাধনের মধ্য দিয়ে ভারতকে একটি জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা সংবিধানের মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কিন্তু এ. আর দেশাই (A. R. Desai) প্রমুখের মতে, ভারতের জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা (minimum securities) প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
Comments
Post a Comment